সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক :নাগরপুরে প্রথম স্বামীকে তালাক (ডিভোর্স) না দিয়ে সাত বছরের এক কন্যা সন্তানের জননী গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করার এক চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই গৃহবধু সন্তান সহ তার প্রথম স্বামীর বাড়ীতে দিব্যি বসবাস করে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের কোল কুষ্ঠিয়া গ্রামে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, সদর ইউনিয়নের কাশাদহ গ্রামের মৃত জিন্নত মিয়ার মেয়ে রওশনারা আক্তারের সাথে কোল কুষ্টিয়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে কাতার প্রবাসী মিজানের প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে রয়েছে ৭ বছরের এক কন্যা সন্তান। এদিকে স্বামী মিজান বিদেশে থাকার সুযোগ নিয়ে ওই গৃহবধু সলিমাবাদ ইউনিয়নের ঘুনিপাড়া গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মো. শহিদুল ইসলামের সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
এক পর্যায়ে ওই গৃহবধু রওশনারা প্রথম স্বামীকে তালাক (ডিভোর্স) না দিয়ে ছলনার ফাঁদে ফেলে ২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারী শহিদুল ইসলামকে টাঙ্গাইলের নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ৪ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধরে বিয়ে করে। যার রেজি নংঃ এ, বালাম নং -০১/১৭ পৃষ্ঠা নং ৫৭। দেনমোহরের টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে হাতিয়ে নিতে গৃহবধু রওশনারা তার দ্বিতীয় বিয়ের দীর্ঘ দশ মাস পরে প্রথম স্বামী মিজানকে তালাক দেয়। এরপর দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে দেনমোহরের টাকার দাবিতে আদালতে মামলা করে।
এ ব্যাপারে সদর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্টার আব্দুল্লা হেল বাকী জানান, ৪৯৪ ধারা মোতাবেক কোন নারী দ্বিতীয় বিয়ের পূর্বে তার প্রথম স্বামীকে অবশ্যই ডিভোর্স দিতে হবে এবং কমপক্ষে ৯০ দিন তাকে অপেক্ষা করতে হবে। গতকাল সরেজমিন কোল কুষ্ঠিয়া গ্রামে মিজানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গৃহবধু রওশনারা তার কন্যা সন্তান সহ প্রথম স্বামীর সাথেই সংসার করছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রওশনারার প্রথম স্বামী মিজান জানান, তার স্ত্রী (রওশনারা) ভূল করে ছিল। গ্রামের মাতব্বরদের সুপারিশে তাকে ঘরে তুলে সংসার করছি। প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করা আইনগত বৈধতা আছে কিনা জানতে চাইলে রওশনারা জানায়, বৈধ অবৈধ জানিনা আমার দেনমোহরের টাকা চাই।