সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক :টাঙ্গাইলে ভূমি দস্যু বোনদের হাত থেকে জমি বাাঁচাতে চাচা ভাতিজা সংবাদ সম্মেলন করেছে। রোববার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়াম হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত দেয়া বক্তব্যে আলী আজম খান উথান বলেন, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই মোমিন নগর মৌজায় আমার দাদা মৃত আব্দুল কাদের খান পৈত্রিক ক্রয় সূত্রে সর্ব মোট ১৪৯৭ শতাংশের মালিক। আমার দাদার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে দুই পুত্র মৃত মহব্বত হোসেন খান লিঠু, আবু আহাদ খান পিন্টু ও চার কন্যা ছালমা খানম মেরী, নাসরিন খানম এনি, তানিয়া খানম এলি ও তাসনুবা খানম বেলী মোট সম্পত্তির মালিক প্রাপ্ত হয়।
সম্পত্তির ওয়ারিশ হিসেবে চার বোনের প্রাপ্য সম্পূর্ণ জমি বিভিন্ন দলিলে বিক্রয় করিয়া নিঃস্বত্ত্ববান হয়। আমার চাচা একজন প্যারালাইসিস রোগী, আমি একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী। বর্তমানে আমরা অসহায় প্রকৃতির লোক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আমার ফুফুদের ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পূর্ন সম্পত্তি বিক্রি করার পরেও অবৈধ ভাবে আমাদের সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য স্থানীয় ভূমি দস্যুদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমার ফুফা মো. শাহীন খান সহ কয়েকজন লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে এসে আমার ভাই মো. আজমির খানকে ভয়ভীতি ও চড় থাপ্পর মারে এবং আমার মাসহ পরিবারকে হুমকি প্রদান করে যে এই জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে যদি কারো কাছে কোন কথা বলিস তাহলে তোদের মেরে ফেলব। আমি উক্ত ঘটনা জানিয়া টাঙ্গাইল কোর্টে জমি জমা প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে এ্যাডভোকেট এর কাছে বুঝতে গেলে আমার ছোট ফুফার সাথে টাঙ্গাইল কুমুদিনী কলেজ সংলগ্ন রাস্তায় দেখা হলে আমাকে বলে, তুই কোর্টে যাচ্ছিস? যদি এর পর আবার শহরে আসিস তাহলে তোকে মেরে লাশ গুম করে ফেলব। কেউ আমাকে সন্দেহ করতে পারবে না। আমি একজন এ্যাডভোকেট। আমি আমার পরিবাবারে নিরাপত্তার জন্য মির্জাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীর আবেদন করেছি। ইতিপূর্বে গোড়াই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আদিল খান ৯২৩ নং খতিয়ানে ১৬৬৫ দাগের জায়গায় তার গুন্ডা পান্ডা নিয়ে দখল করার চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে, এমন কি অন্যায় করেও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আমাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আহাদ খান পিন্টুসহ ইলেট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদিকবৃন্দ।