সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর ইঞ্জিনিয়ার মাজেদুর রহমান(৩৫) হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামী মোঃ সাজ্জাদ(২০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
ইতিপূর্বে আরেক আসামী মোমিনুর গ্রেফতার হলেও অন্য আসামীরা থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে। থানার মাধ্যমে তদন্ত ও চার্জশিট হলেও তদন্ত রিপোর্টের প্রতি বাদীপক্ষ অসন্তুষ্ট হয়ে না রাজী দেয়ার কারনে আদালত পিবিআইকে সম্প্রতি মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টাঙ্গাইলের পুলিশ পরিদর্শক এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ মিরাশ উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শ মোঃ খায়রুল ইসলাম, এসআই আব্দুল হাই, এসআই মনীর সহ সঙ্গীয় ফোর্সদের সহায়তায় ৫ মে ভোর রাতে রাবনা বাইপাস এলাকা থেকে এই হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামী মোঃ সাজ্জাদ কে গ্রেফতার করে। পিবিআই এর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এ বিষয়ে পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন গেপ্তারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সেইসাথে অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি। প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে ও পিবিআই এর সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে আমরা সবসময় তৎপর।
এামলা ও ঘটনার বিবরনে জানা যায়, টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস শূন্যটেক সংলগ্ন মন্টু টেক্সটাইল মিলসের মেকানিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কুড়িগ্রাম জেলার ওলিপুর থানার পশ্চিম নাওডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মোঃ মাজেদুর রহমান চাকরী করত। টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস এলাকায় ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল রাতে ওই এলাকার সাবিনা নামে এক ট্রেক্সটাইল কর্মীর বাড়ীতে যায় মাজেদুর। সেসময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই এলাকার চাঁন মিয়া, মোমিনুল, সাজ্জাদ, সামাদ’সহ কয়েকজন মিলে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তার্ত ও আহত করে তাকে। গুরুতর জখমপ্রাপ্ত মুমুর্ষ অবস্থায় প্রতিবেশীরা পুলিশের সহযোগীতায় মাজেদুরকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরবেলা তার মৃত্যু হয়। মৃত্যু সংবাদ পেয়ে নিহত মাজেদুরের ভাই জহুরুল ইসলাম এসে বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৪৯/১৮, তারিখ ২৮/০৪/১৮ ইং। বাদীপক্ষ জানায় আসামীরা বিভিন্নভাবে তাদের এই মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকী দিয়ে যাচ্ছে।