শিরোনাম
নাগরপুরে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ভূমিসহ গৃহ হস্তান্তর Headline Bullet       সন্তোষ জাহ্নবী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও মিলাদ মাহফিল Headline Bullet       টাঙ্গাইলে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে Headline Bullet       টাঙ্গাইলে এসপি’র কাছে থেকে বিনামূল্যে স্কুল ড্রেস ও চকলেট পেলো সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা Headline Bullet       টাঙ্গাইলে স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হতদরিদ্রদের ইফতার সামগ্রী বিতরণ Headline Bullet       বাসাইল পৌরসভায় রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন Headline Bullet       টাঙ্গাইলে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়দানকারী ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব Headline Bullet       টাঙ্গাইলে শ্রেণিকক্ষ ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিলেন ইউএনও Headline Bullet       করটিয়া সা’দত বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইউসুফ সম্পাদক রাজীব Headline Bullet       প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহহীন ও ভুমিহীনদের জন্য ঘর উদ্বোধন বিষয়ে টাঙ্গাইলে প্রেস ব্রিফিং Headline Bullet      

টাঙ্গাইলের মধুপুরে করলা খেত কেটে সাবাড় – কৃষক দিশেহারা

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ১৩ এপ্রিল ২০১৯ - ০৮:১৭:৫২ পিএম

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক :
টাঙ্গাইলের মধুপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৩২ শতাংশ জমির করলা খেত কেটে সাবাড় করেছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক দিশেহারা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান করলা খেত পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, মধুপুর উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের কুড়াগাছা গ্রামের কৃষক মোহম্মদ আলীর ছেলে আকতার হোসেন কালু তার ভাইয়ের বাড়ির পালানে ৩২শতাংশ জমিতে স্থানীয় পাইকারদের কাছ থেকে দাদন ও ধার দেনা করে উচ্চ ফলনশীল জাতের করলা চাষ করেন। অতিযতেœ গড়ে তোলা করলা খেত গাছে মাঁচা ছেয়ে গেছে। থোকায় থোকায় করলা ধরেছে। হঠাৎ করে গত শুক্র বার সকালে কালু মিয়া ঘুম থেকে উঠে খেতে গিয়ে দেখে তার ৩২ শতাংশ জমির করলা গাছ কেটে সাবাড় করেছে। গাছ গুলো মরা মরা। স্থানীয়রা এ খবর শুনে এসে দেখে গোরাসহ পুরো জমির গাছ তুলে ফেলেছে। এ ব্যাপারে কৃষক আকতার হোসেন কালু মিয়া জানায়, আমি ধার দেনা ও দাদন নিয়ে গত কার্তিক মাস থেকে তার ৩২ শতাংশ জমিতে করলা চাষ করে যতœ করে আসছি। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এ জমিতে কাজ করছি। গাছে করলা ধরেছে। কিছু কিছু করলা বিক্রিও শুরু করেছি। গত শুক্রবার ঘুম থেকে উঠে গিয়ে দেখতে পায় আমার ৩২ শতাংশ জমির করলা গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গত চার দিন আগে একই গ্রামের টানপাহাড় এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে আরশেদ আলী তাদের এলাকা থেকে করলা চুরি করলে স্থানীয়রা ধরে ফেলে। সেখানে গিয়ে চুরির অভিযোগে আরশেদ আলীকে আকতার হোসেন কালু একটি বেত্রাঘাত করে। কালু মিয়ার ধারনা এ শত্রুতা থেকে আরশেদ আলী তার খেতের করলা গাছ কেটে দিতে পারে। তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত তার করলা খেতের খরচ হয়েছে ২০/৩০ হাজার টাকা। শেষ পর্যন্ত করলা বিক্রি করতে পারলে লক্ষাধিক টাকা হাতে পেতো বলে তার ধারণা। এখন এ কৃষক ধার দেনা ও ঋণ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কি দিয়ে পরিশোধ করবেন ঋণ। একই গ্রামের আব্দুস সালাম (৩৫), হাসমত আলী (৭৫) ও বিল্লাল হোসেন (৫০) জানায়, আমরা গিয়ে করলা খেত দেখেছি এভাবে মানুষ ক্ষতি করতে পারে ধারণা করা যায় না। ধরন্ত ফসল এভাবে নষ্ট করায় কৃষকটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব তথ্য স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে। এ ব্যাপরে স্থানীয় কুড়াগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক সরকার জানায়, আমি সরজমিনে দেখতে গিয়েছিলাম। তার ৩২শতাংশ জমির পুরোটাই করলা গাছের গোরা টেনে তুলে ফেলেছে। এতে এ হতদরিদ্র কৃষকটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যেই এই ক্ষতিকর কাজটি করে থাক এটা ঘৃণিত ও ন্যাক্কারজনক। কৃষকটি ভাল ভাবে করলা বিক্রি করতে পারলে লক্ষাধিক টাকার মতো পেতো। সে এখন হতাশ হয়ে পড়েছে। এই কাজটি যেই করে থাক তার উচিত বিচার হওয়া দরকার।

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: