টাঙ্গাইল শহরের নিউ মার্কেট রোডে দেওয়ান পেপার হাউজ নামীয় বাইন্ডিং কারখানায় অভিযান চালিয়ে তিন লাখ ২২ হাজারটি সিগারেটে লাগানোর নকল ব্যান্ডরোল(শুল্ককর পরিশোধিত লেবেল) সহ তিন জনকে গ্রেফতার ও ব্যান্ডরোল ছাপার মেশিন জব্দ করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সায়েদুর রহমান।
এ প্রসঙ্গে ওসি জানান, টাঙ্গাইল মডেল থানার এসআই রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন পুলিশের একটি টহল দল গোপণে খবর পেয়ে রোববার(২১ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে শহরের নিউ মার্কেট রোডে তারাপদ সাহার ভবনের নিচ তলায় এসকে পেপার হাউজ নামীয় মো. নুর আলমের বাইন্ডিং কারখানায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মো. নুর আলম(২৫) ও মো. মারুফ মিয়া(২৫) পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধরে ফেলে এবং বাইন্ডিং কারখানা থেকে তিন লাখ ২২ হাজারটি সিগারেটে লাগানোর নকল ব্যান্ডরোল(শুল্ককর পরিশোধিত লেবেল) জব্দ করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শহরের বেপারীপাড়ার শান্তিকুঞ্জ মোড়ের ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় দফা অভিযান চালিয়ে ব্যান্ডরোল ছাপানোর মেশিন হামদা সেভেন হান্ড্রেড(মূল্য এক লাখ ২০হাজার টাকা) জব্দ ও মেশিনের মালিক মো. শাহীনুর সরকারকে(৩০) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় পুলিশ নকল ব্যান্ডরোল ছাপানোর তিনটি প্লেটও জব্দ করে।
গ্রেফতারকৃত মো. নুর আলম নাগরপুর উপজেলার গুনি গ্রামের আ. ছালাম মিয়ার ছেলে; তিনি সদর উপজেলার কচুয়াডাঙ্গা গ্রামের হাবিবের ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। শাহীনুর সরকার নাগরপুর উপজেলার বেকড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে; তিনি শহরের বেপারীপাড়াস্থ শান্তিকুঞ্জ মোড়ের সাহাবুদ্দিনের বাসা ভাড়া নিয়ে ছাপাখানা পরিচালনার আড়ালে নকল ব্যান্ডরোল ছাপাতেন। মো. মারুফ মিয়া টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ভাল্লুককান্দি গ্রামের মোকাদ্দেছ হোসেনের ছেলে। এ বিষয়ে এসআই রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে সোমবার(২২ অক্টোবর) গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। দেয়া তথ্যে কয়েকজন মূদ্রণ ব্যবসায়ীর নামও ওঠে এসেছে, সেসব তথ্য যাচাই- বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।