সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের দিঘীরচালা, বুড়িরচালা, বাঘেরবাড়ি, ইন্দ্রারজানি, ঢণঢণিয়াসহ কয়েকটি গ্রামে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ৩০-৩৫টি গরু ও ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে রাতের আঁধারে বাড়ির গ্রিল কেটে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় অর্ধ শতাধিক মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও কাটছে না আতঙ্ক। ফলে গ্রামবাসী কোনো উপায় না পেয়ে নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই দেয়ার জন্য গত এক সপ্তাহ ধরে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। গত কয়েক দিন ধরে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নিয়মিত গরু, ছাগল ও মহিষ চুরি হওয়ার পর চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে গ্রামবাসীদের মাঝে। বিগত ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে ওই ইউনিয়নে প্রায় ৩০-৩৫টি গরু এবং প্রায় অর্ধ শতাধিক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে।
কয়েক দিন আগে শ্রীপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের বাড়ি থেকে ১৫০ সিসি পালসার মোটরসাইকেল চুরি হয়। এর আগে ইন্দ্রারজানি গ্রাম থেকে একই রাতে ৩ স্কুল শিক্ষকের বাড়ির গ্রিল কেটে মোটরসাইকেল চুরি হয়। অন্যদিকে উপজেলার কাজিরামপুর এলাকার তুলা মিয়ার নিজ বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এসময় সংঘবদ্ধ চোরেরা নগদ টাকা, গহনা এবং একটি মোটরসাইকেলসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে। এর পরে হামিদপুর চৌরাস্তা বাজার ও ইন্দ্রারজানি বাজারের ৪টি মুদির দোকান থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়।
এলাকাবাসী জানান, গ্রেফতারের পর কয়েক দিন কারাভোগ করে চোর ও ডাকাত দলের সদস্যরা জামিনে বেড়িয়ে পুনরায় তাদের পেশায় এবং মাদক সেবীরা নেশার টাকা জোগাড় করতেই চুরি ও ডাকাতির মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ওসি এসএম তুহিন আলী বলেন, এলাকাবাসীর জান মালের নিরাপত্তা দেয়াসহ চুরি ও ডাকাতি রোধে পুলিশ কাজ করছে।