আর মাত্র কয়েকদিন পর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। চরম ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করছে প্রার্থীরা। প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নিয়ে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে। এবারের রাসিক নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী পাঁচ জন। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রকৃত লড়াই হবে আওয়ামী লীগের এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এর মধ্যে। এবারের নির্বাচনে সাধারণ মানুষসহ নগরীর সুধীজনেরা ব্যক্তি ইমেজকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
লিটন ২০০৮ সালে মেয়র নির্বাচিত হয়ে নগরীর প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন। রাজশাহী সিটিকে পরিচ্ছন্ন ও বসবাসযোগ্য করার পেছনে লিটনের অবদানের কথা সকলে স্বীকার করে। এবারের রাসিক নির্বাচনে লিটনের নির্বাচনী ইশতেহারে রাজশাহীকে একটি আধুনিক শিল্প নগরী, বেকার সমস্যার সমাধান ও মাদকমুক্ত রাজশাহী গড়ার প্রতিশ্রুতিকে ইতিবচিক দিক হিসেবে বলছেন সুধীজনেরা। তাই সুধীজনরা লিটনকে সমর্থন করছেন।
হত্যাসহ ১২টি মামলার আসামী ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল প্রথম থেকেই সুধীজনদের তেমন পছন্দের না। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মেয়র থাকাকালীন সময় রাসিকবাসীর আশা পূরণ করতে পারেননি তিনি। লিটনের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে পারেননি বুলবুল।
রাজশাহীর অন্যতম মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত স্থানীয় বিএনপি নেত্রী লায়লা সুলতানা লিজাকে নিয়ে বুলবুল নির্বাচনী গণসংযোগে নামায় নতুন করে নিন্দার ঝড় চলছে সুধীজনদের মধ্যে। বুলবুলের রাজশাহীকে মাদকমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে সুধীজন বলেন এ যেন ভুতের মুখে রাম নাম। তারা মনে করছেন বুলবুল মেয়র হলে রাজশাহী হয়ে উঠবে মাদকের স্বর্গরাজ্য।
সামগ্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রচারণার পক্ষে মত সুধী সমাজের। ৩০ জুলাই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে রাজশাহীর জন্য যোগ্য মেয়র নির্বাচিত করতে চান নগরবাসী।