আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বাগধারার অর্থ অনেকেরই জানা। রাসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এর ক্ষেত্রে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
২০১৩ সালের নির্বাচনে তার নগদ অর্থের পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। গেল পাঁচ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৪২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ যেন বুলবুলের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠা।
পুলিশ সদস্য সিদ্ধার্থ হত্যা ও নাশকতাসহ ১২ মামলার আসামি বুলবুলের সম্পদের হিসাব করে দেখা গেছে, ২০১৩ সালের চেয়ে এবার প্রায় সাত গুণ বেড়েছে। ২০১৩ সালে মেয়র হওয়ার পর থেকেই বুলবুলের সম্পদের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বুলবুল নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় তার বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা। এবারের হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ২৪ লাখ ৫৭ হাজার ২৬০ টাকা।
স্ত্রীর নামে আছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৮শ’ টাকা। বুলবুলের নিজেরই আছে ২৫ ভরি স্বর্ণ। যা স্ত্রীর চেয়েও বেশি। কারণ স্ত্রীর নামে রয়েছে ২০ ভরি স্বর্ণ।
তার সম্পদ বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করে চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে আসে। নানান উন্নয়নের নামে অর্থ বরাদ্দ করলেও কোন প্রকার কাজ না করেই সমস্ত অর্থ আত্মসাৎ করা, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে বেশীর ভাগ অর্থ উপার্জন করেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিতেন তিনি। নগরীর উন্নয়ন না করে নিজের আখের গুছাতেই ব্যস্ত ছিল বুলবুল।
সম্পদ ও আয় বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে প্রশ্ন করা হলে বুলবুল কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।