মহাজোট মনোনীত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের বিপরীতে মেয়র পদে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়াই করছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।মেয়র প্রার্থী নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগকে জোটের অন্যান্য শরিকদের সাথে কোন দ্বন্দ্বে বা ভাগ বাটোয়ারায় যেতে হয়নি, কেননা মহাজোটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শরিকদল জাতীয় পার্টি শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। অপরদিকে বিএনপিকে মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে জোটের অন্যান্য শরিকদল দ্বারা কম ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। জোটের শরিকদল জামায়াতে ইসলামী শুরুতে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিলে বিএনপির ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।পরবর্তীতে বিএনপির অনুরোধের প্রেক্ষিতে জামায়াত তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করলে বিএনপি যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে। এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী শাখার গুরুত্বপূর্ণ এক নেতার মাধ্যমে জানা যায়, জামায়াতের হাই কমান্ড নির্বাচন থেকে শুধু মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিলেও বিএনপিকে সমর্থন দেবার ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। এ বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে জামায়াতের সমর্থন ছাড়াই রাসিক নির্বাচন লড়ছে বিএনপি।রাসিক নির্বাচনের মাঠ জরিপে বের হয়ে আসে যে, জামায়াত ভীতি থেকে বিএনপি বের হয়ে আসতে পারলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিএনপির ভোট কমার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।হাতপাখা প্রতীক নিয়ে শফিকুল ইসলাম রাসিক নির্বাচনে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। অন্যদিকে হাতপাখা প্রতীককে প্রকাশ্যে সমর্থন প্রদান করছে হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ। যার দরুণ ভালো সংখ্যার ভোট পাবার সম্ভাবনা রয়েছে ইসলামী আন্দোলনের। এমন কারণেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশংকা করছেন যে, ধানের শীষ প্রতীকের অনেক ভোট হাতছাড়া হয়ে হাতপাখা প্রতীকে চলে যাবে।বিগত ছয়টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পাঁচটিতেই ভোট প্রাপ্তির দিক দিয়ে ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান ছিল তৃতীয়। আর তাই বিএনপির ভোট ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে চলে যাবার আশংকা থাকায়, হাতপাখা মার্কা বিএনপির মাথা ব্যাথার নতুন কারণ।