আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ৫ জন প্রার্থীর অংশ গ্রহণে হতে যাচ্ছে দেশের ‘সিল্ক সিটি’ খ্যাত এই নগরীর নির্বাচন। এতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে রয়েছে হেভিওয়েট প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আর বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। যতই নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে, প্রার্থীরা ততই জনসমর্থনের আশায় ঘুরছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে। আর জনসমর্থন বিহীন এবং দলীয় কোন্দলে জর্জরিত বিএনপি প্রার্থী বুলবুল ততই জড়াচ্ছেন নানা অপকর্মে। যা নিয়ে অতিষ্ট রাজশাহীবাসি এবং স্বয়ং কেন্দ্রীয় বিএনপি।
‘শান্ত মনোরম রাজশাহীতে গত ১৭ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর সাগরপাড়া বটতলার মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগকালে ককটেল হামলা চালানো হয়েছে’। — এই খবরটি শুনেই যে কারো মাথায় হয়তো আসতে পারে যেহেতু বিএনপি প্রার্থী, হামলা আর কে করবে- নিশ্চই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন!
কিন্তু আমরা যদি বিশ্লেষণী দৃষ্টিতে দেখি, বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে হামলা করলে আসলে কি আওয়ামী প্রার্থীর কোনো লাভ আছে? বরং এলাকায় নির্বাচনকালীন সময়ে তার বদনাম হওয়া ছাড়া আর কিছুই হবে না। আর বিএনপি প্রার্থী নিজের লোক দ্বারা যদি এই গণসংযোগে হামলা করে তাহলে লাভ কি কি? আওয়ামী প্রার্থীর নামে অপপ্রচারের ভিত্তি তৈরী করা, মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে ভোট পাওয়া- ইত্যাদি। আর এই সুযোগটিই হারাতে চাননি চতুর মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এই হামলার কাজে ব্যবহার করেছেন নাটোরের যুবদল কর্মী খালেদ ও জাবেদকে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য!
এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এবং সমন্বয়ক এর ভূমিকায় ছিল স্থানীয় বিএনপি নেতা একেএম মতিউর রহমান মন্টু। গোপন সূত্রে জানা যায়, মন্টুর এই আত্মঘাতী কুচক্রী পরিকল্পনার পিছনের কারণ ছিল বুলবুলের কাছ থেকে ক্রেডিট নেয়া। যাতে নির্বাচিত হলে বুলবুলের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে মন্টু অবিরত রাখতে পারে তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। তাছাড়া চাটুকার মন্টু বুলবুলকে বুঝিয়েছেন এই হামলাই বুলবুলকে আলোচিত করে তুলবে, প্রচারেই প্রশার। এই হামলার ফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনগড়া অপপ্রচার ও চালানো সহজ হবে।
পূর্বের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোর মতোই রাজশাহীবাসীর প্রত্যাশা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। তবে এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে একেএম মতিউর রহমান মন্টুর ঘৃণিত পরিকল্পনা এবং মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের তাতে সায় জানানো চিন্তিত করে তুলছে পদ্মাপাড়ের এই শান্তিপ্রিয় মানুষদের। মতিউর রহমান মন্টুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণই এখন প্রশাসনের কাছে সকলের দাবি।