রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সমর্থিত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে সমর্থন দিয়েছেন বিএনপি নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর মনির হোসেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরের ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি লিটনকে সমর্থন দেন। একই সঙ্গে নৌকার পক্ষে প্রচার চালানোর জন্য লিটনের কাছ থেকে প্রচারপত্র গ্রহন করেন মনির হোসেন। উন্নয়নের জন্য, রাজশাহীবাসীর স্বার্থেই লিটনকে সমর্থন বলে জানান মনির হোসেন। উল্লেখ্য, মনির হোসেন ১৯৯২ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বিএনপির প্রার্থী হয়ে গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এবার আবারো তিনি কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন।
মনির হোসেন এসময়ে বলেন, ‘ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। রাজশাহীর উন্নয়নের জন্যে এখানে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। এছাড়া যোগ্যতার একটি বিষয় আছে। লিটন ভাই যোগ্য মানুষ, তিনি রাজশাহীর উন্নয়ন করতে পারবেন।’ নিজের জন্য ভোট চাওয়ার পাশাপাশি নৌকার পক্ষেও প্রচার চালাবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।
মনির হোসেন আরো বলেন, ‘আমি দল করি বিএনপি, কিন্তু রাজশাহীর উন্নয়নের স্বার্থে লিটন ভাইকে ভোট দিবো, আমার পরিবারের সবাইও লিটন ভাইকে ভোট দেবে।’ এসময় তিনি আরো বলেন, ‘১৮ নং ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্যে দলমত নির্বিশেষে সবাই আমাকে ভোট দিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছেন। তাই জনগণের উন্নয়নের কথা ভাবছি, সেজন্য লিটন ভাইকে ভোট দেয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে বোঝা যায়, গত মেয়াদে অর্থাৎ বুলবুলের সময়ে কি পরিমাণ অনিয়ম এবং দুর্নীতি হয়েছে যে নিজের দলের কর্মীই দলের বাইরে অবস্থান নিচ্ছেন। উপরন্তু, খায়রুজ্জামান লিটনের উন্নয়নের কথা কারোই অজানা নয়। তাই তার প্রতি সমর্থন এসেছে বিপক্ষ দল থেকেও।
ভোটের ফলাফল জানা যাবে ৩০ তারিখ কিন্তু তার আগেই জমে উঠছে জোটের সমীকরণ। আর তাই নির্বাচনের আগেই কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ বিএনপিতে। নেগেটিভ ইমেজের কারণে আগে থেকেই অনেকটা নাকাল বিএনপি, তার উপর এই সংবাদ অনেকটাই মরার উপর খাড়ার ঘা। নির্বাচনের আগে বিএনপি কতটা নিজেদের সামলে নিতে পারে তা দেখার অপেক্ষায় রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা।
রাসিক নির্বাচনে জামায়াত নিয়ে অনেকটাই কোণঠাসা ছিল বিএনপি। জনসমর্থন আর দলের আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বিএনপি এবং জোট। মূলত তাই অনেকটাই জোটের উপর বিতৃষ্ণা থেকেই নৌকায় সমর্থন দিয়েছেন মনির হোসেন। বিএনপির কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও দলের জন্য এই সংবাদ কোন শুভবার্তা নয়।