শিরোনাম
বিদ্যুতখাতে অনিয়ম ও দূর্নীতিসহ অসহনীয় লোডশেডিং এর প্রতিবাদে বিএনপির ধর্মঘট Headline Bullet       টাঙ্গাইলের নারী উদ্যোক্তাকে মারধর, দোকান ও বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগ Headline Bullet       নাগরপুরে জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা Headline Bullet       রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের নিয়ে মৌসুমী ফলের উৎসব Headline Bullet       বাসাইল পৌরসভা নির্বাচন: প্রশাসনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা Headline Bullet       হত্যার ভয় দেখিয়ে শিশু বলাৎকার, সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার গ্রেফতার Headline Bullet       যায়যায়দিন সমাজের প্রকৃত চিত্রের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে Headline Bullet       ভূঞাপুরে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিলো দুইজনের প্রাণ Headline Bullet       নাগরপুরে পথসভায় উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম Headline Bullet       মির্জাপুরে দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ প্রদান Headline Bullet      

জনসমর্থন না পেয়ে নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করছেন বুলবুল

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ২১ জুলাই ২০১৮ - ১১:১১:১৬ পিএম

৩০ জুলাই আসন্ন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে জোর কদমে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীরা ভোটারদের সাথে দেখা করে ভোট এবং দোয়া চাচ্ছেন।

এদিক থেকে খানিকটা পিছিয়ে আছে সদ্য বিদায়ী মেয়র বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বুলবুল ২০১৩ থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পূর্ব পর্যন্ত রাসিকের নগরপিতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই অনুযায়ী এলাকাবাসীর সমর্থন, আস্থা তার ওপর বেশি থাকার কথা ছিল। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে বুলবুলের জনসমর্থন অনেকটা ম্লান এবারের নির্বাচনে।

গত পাঁচ বছরে বুলবুল নগরীর কোনো বিশেষ উন্নয়নে নিজেকে জড়াতে পারেননি। নানা অপকর্মে গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপির পদপ্রার্থী এই মেয়র। লিটনের সাজানো শহরে ধীরে ধীরে ধুলা, আবর্জনা জমতে শুরু করে বুলবুলের আমলে। নগরবাসী নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন কিন্তু তিনি ফিরে আসেননি রাজশাহীর জনসাধারণের এসব সমস্যা সমাধানে। শুধু তাই নয় মেয়াদকালের অর্ধেকের বেশি সময় তিনি পার করেছেন কারাগারে। কারাগার থেকে ফেরার পর তিনি ব্যস্ত ছিলেন রাজশাহীর উন্নয়নের টাকা দিয়ে নিজের আখের গোছাতে। এসব কারণে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বুলবুলের নেতৃত্ব থেকে।

জনসমর্থন না পেয়ে নির্বাচন কমিশনকে নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য মেতে উঠেছেন বুলবুল। তিনি বলেন নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব করছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী লিটন নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলেও নির্বাচন কমিশন তার বিরুদ্ধে কোন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার দলীয় প্রার্থী বলে বিভিন্ন দিক থেকে তাকে ছাড় দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বুলবুল এসব অভিযোগের কোনো কিছুই প্রমাণ করতে পারেননি। এমনকি কোনো বিশ্বাসযোগ্য তথ্য উপাত্তও তিনি দিতে পারেননি।

বুলবুলের আনা এসব অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। তিনি যা অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আশানুরূপ জনসমর্থন না পেয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। তার এখন প্রধান উদ্দেশ্য নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করে নির্বাচন বানচাল করা। বুলবুলের কর্মী সমর্থক কম থাকায় প্রচার প্রচারণায় তিনি অনেকটা লিটনের থেকে পিছিয়ে আছেন। তার ওপর জনগণ বুলবুলের থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। সব মিলিয়ে বুলবুল এখন নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তার এখন মূল উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল করা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: