শিরোনাম
মির্জাপুরে নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Headline Bullet       টাঙ্গাইল ডিএফএ এর সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান জামিলের স্মরণে শোকসভা  Headline Bullet       দেশে এবার নির্মাণ হবে দৃষ্টিনন্দন ২৬১ গম্বুজ মসজিদ Headline Bullet       মির্জাপুরে ফজলুর রহমান খান ফারুক ফুটবলে কালিয়াকৈর চ্যাম্পিয়ন Headline Bullet       অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত, প্রতিবাদের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন Headline Bullet       নাগরপুরে জনসভাকে ঘিরে প্রকাশ্যে এলো এমপি-উপজেলা আ’লীগের দ্বন্দ্ব Headline Bullet       মির্জাপুরে ডেঙ্গু সচেতনতায় র‌্যালি Headline Bullet       বিয়ের ২ দিন পর পুকুরে গোসল করতে গিয়ে লাশ হলেন যুবক Headline Bullet       নাগরপুরে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Headline Bullet       মির্জাপুরে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ও আইনশৃৃৃঙ্খলা সভা Headline Bullet      

রাজশাহীতে অর্থনীতির গতি সঞ্চারে লিটনের ভাবনা

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ২০ জুলাই ২০১৮ - ১০:০৯:২৩ পিএম

২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর নগরপিতার দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করেন রাজশাহীর সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগের এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।  তার সময়কালে জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হয় এবং রাজশাহীবাসী বেশ সন্তুষ্ট থাকে নগরের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে। কিন্তু দেখতে দেখতে চলে আসে ২০১৩ রাসিক নির্বাচন। ২০১৩ রাসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং জয় লাভ করেন রাজশাহীর পরবর্তী নগরপিতা হিসেবে। ২০১৩ থেকে এই পর্যন্ত রাজশাহীর নগরপিতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০১৩ থেকে শুরু হয় বুলবুলের সময়কাল। সেই থেকে লিটনের সাজানো গোছানো রাজশাহীর চেহারাও ধীরে ধীরে মলিন হতে শুরু করে। বুলবুল মেয়র হওয়ার পর তার জন্য দুর্নীতি করাটা সহজ হয়ে যায়। সরকারের বরাদ্দ করা উন্নয়নের অর্থ তিনি কোনো উন্নয়ন কাজে লাগাতেন না। কাজে লাগাতেন তার স্বর্ণ সম্ভার আরও সমৃদ্ধ করতে। জড়িত ছিলেন নানা রকম অপকর্মে। এজন্য তার মেয়াদ কালের অর্ধেকের বেশি সময় তিনি পার করেছেন করাগারে। আর এই দিকে ময়লা আবর্জনার স্তূপ জমতে শুরু করেছে নগরীর আনাচে কানাচে।

লিটন ২০১৩ সালের নির্বাচনের পরাজয়কে শক্তি হিসেবে নিয়ে এবার প্রচার প্রচারণা ও ইশতেহার সেভাবেই সাজানো হয়েছে যাতে জনগণ উপকৃত হয় এবং নগরীর উন্নয়ন হয়। ১৫ দফা ইশতেহারে ৮২টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাসিকের সাবেক এই মেয়র। লিটনের ইশতেহারে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে শিল্প কারখানার উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি। এতে করে বেকারত্বের হার কমবে এবং শিল্প নগরী হিসেবে রাজশাহীর উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। রেশমের জন্য বিখ্যাত রাজশাহী নগরী। লিটন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রেশম কারখানা ও টেক্সটাইল মিল পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার। রাজশাহী জুটমিল সংস্কার, কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন এবং কুটির শিল্পের সম্প্রসারণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানও সৃষ্টি করতে চান লিটন।

রাজশাহীর জুটমিল সংস্কার, রেশম, কৃষি ও কুটির শিল্প সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের অর্থিনীতিতেও অবদান রাখবে। আমাদের দেশের তৈরী হস্ত ও কুটির শিল্পের বেশ চাহিদা রয়েছে বিদেশের মাটিতে। এগুলো সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করাও সম্ভব। বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল মেয়র থাকাকালীন হোল্ডিং ট্যাক্স যেভাবে বেড়েছে তা কমিয়ে সহনশীল পর্যায়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন লিটন। এতে করে ব্যবসা সম্প্রসারণে আরও এগিয়ে যাবে রাজশাহী। নতুন উদ্যোক্তারাও আগ্রহী হবে ব্যবসার ক্ষেত্রে। এছাড়াও লিটন রাজশাহীর নতুন নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসার জন্য আলাদা মার্কেট করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

রাজশাহীর অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে একটি তিলোত্তমা নগরী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। এজন্য সড়ক ও মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার মাধ্যমে যানজট নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও একটি শিল্প ও শিক্ষা নগরীর পাশাপাশি পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পর্যটন বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও সাংষ্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণ, দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার জন্য বিশেষ বরাদ্দ থাকবে বলে জানা যায়।

দেশের ভিতর শান্ত সবুজ গাছের ছায়া ঢাকা একটি শহর রাজশাহী। যা শিল্পনগরী হিসেবে বেশ পরিচিত। যদিও সঠিক অভিভাবকের তত্ত্বাবধায়নের অভাবে এবং দুর্নীতির কবলে পড়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল এখানকার কিছু খাত। রাজশাহীবাসী এ থেকে পরিত্রাণ চায়। তারা চায় সৎ, যোগ্য, নিষ্ঠাবান নগরপিতা। যার হাত ধরে নগরী হবে একটি সত্যিকারের তিলোত্তমা নগরী। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী লিটন তার নির্বাচনী ইশতেহার ও প্রতিশ্রুতি সাজিয়েছেন নগরীর উন্নয়ন ও নগরবাসীর চাহিদাকে কেন্দ্র করে। এ ক্ষেত্রে লিটন অর্থনৈতিক খাতকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ইশতেহারে রেখেছেন। সদ্য বিদায়ী মেয়র বিএনপির বুলবুল নগরীর উন্নয়নের বদলে দুর্নীতিই বেশি করেছেন। এজন্য নগরবাসী এমন কাউকে চান যিনি ইশতেহার ও প্রতিশ্রুতির মিল রেখে নগরীর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাবে নগরবাসীর পাশে থেকে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: