রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমজমাট হয়ে উঠছে ভোটের প্রচার। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে অংশ নিতে ১৩৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সমর্থিত প্রার্থীদের হয়ে ভোটের মাঠে ছুটে আসছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষেও মাঠে নেমেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। বুধবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নগরীর বিনোদপুর এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করেন। এর আগে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বুলবুলের পক্ষে রাজশাহীতে পথসভা করেন।
‘মেয়র নির্বাচিত হলে মুক্তি নিশ্চিত করবেন খালেদা জিয়ার’- এমনটাই আকাঙ্খা রাসিক নির্বাচনের মেয়র পদপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের। মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই রাতে ঘরোয়া এক বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন বুলবুল। উক্ত বৈঠকে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। যদিও পরবর্তীতে তারা এই বক্তব্যকে নিতান্তই বুলবুলের নিজস্ব মনগড়া বক্তব্য বলে মন্তব্য করেন। উপস্থিত থেকেও গয়েশ্বর বা দুলু বিষয়টি পরবর্তীতে এড়িয়ে যান।
সাধারণ জনতা প্রশ্ন করেন, এমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন মন্তব্যকারী কিভাবে সিটি কর্পোরেশন সামলাবেন? খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আদালত কর্তৃক প্রমাণিত ও রায়কৃত। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পর্যন্ত এখানে হস্তক্ষেপের এখতিয়ার রাখেন না, সেখানে বুলবুল কিভাবে এহেন স্বপ্ন দেখেন তা বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। খালেদা জিয়া একজন প্রমাণিত অর্থ আত্মসাৎকারী এবং নাশকতায় ইন্ধন দানকারী। শুধুমাত্র দলীয় স্বার্থে এমন মানুষের পক্ষ অবলম্বন করে বুলবুল নিজের চারিত্রিক দৈন্যতার প্রমাণ দিলেন। আর তাই শুধু রাজশাহীর ভিতরেই নয়, বরং এই বক্তব্যকে তিরস্কার করেছে সর্বস্তরের মানুষ।
খালেদা জিয়ার এতিমের টাকা লোপাটের ঘটনা কারোই অজানা নয়, সেখানে বুলবুলের এমন বক্তব্যের পর মানুষের ভিতর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, যা অবশ্যই প্রভাব ফেলবে আসন্ন সিটি নির্বাচনে। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বুলবুল এখনও বক্তব্য প্রত্যাহার বা ক্ষমা চাননি। নির্বাচনের মাধ্যমে এবং গণতান্ত্ৰিক পন্থায়ই প্রার্থী নির্বাচন করতে চান রাসিক বাসী। আর তাই সবাইকেই জনকল্যাণমুখী ও দায়িত্বশীল রাজনীতি করার পরামর্শ সচেতন মহলের।