শিরোনাম
মির্জাপুরে ইসলামী ব্যাংকে ইফতার মাহফিল Headline Bullet       মধুপুরে উপজেলা ১০০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা শুরু Headline Bullet       ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলেন ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ Headline Bullet       স্বপ্ন বাস্তবায়নে অটিস্টিকদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ডা. জাহাঙ্গীর আলম Headline Bullet       মির্জাপুরে বিজ্ঞান ক্যাম্প এক মুঠো বিজ্ঞান Headline Bullet       বাসাইলে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাব বিতরণ Headline Bullet       মাভাবিপ্রবিতে রেজাল্ট অটোমেশন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Headline Bullet       ট্রান্সফরমার চোর ধরিয়ে দিলেই পুরস্কার দিবেন বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ Headline Bullet       পাপ মোচনে যমুনায় গঙ্গাঁস্নানোৎসবে পূর্ণ্যার্থীদের ঢল Headline Bullet       ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখতে টাঙ্গাইলে মতবিনিময় সভা করেছে জেলা পুলিশ Headline Bullet      

সিসিক নির্বাচন: বেকায়দা ও চ্যালেঞ্জের মুখে বিএনপি

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ১৮ জুলাই ২০১৮ - ১২:৪৮:১৮ এএম

ডেস্ক: দলীয় প্রতীকে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩০ জুলাই। এই নির্বাচন আওয়ামী লীগ-বিএনপির জন্য সম্মান বাঁচানোর লড়াই বলে মনে করছেন সুশীল সমাজ। অনেকে বলছেন আরিফ-কামরানের জনপ্রিয়তা পরীক্ষার নির্বাচন হচ্ছে সিসিক নির্বাচন।

চলমান রাজনৈতিক অবস্থায় বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন। কারণ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম ও ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক জামায়াত সমর্থিত মহানগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। এক নির্বাচনে দলীয় বিদ্রোহীসহ শরিক দলের প্রার্থী থাকায় দিনের বেলায় অন্ধকার দেখছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। এই সু্যোগ কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান আছেন সুবিধাজনক অবস্থানে। কামরান অন্তত দলীয় ভোটারদের বেইমানী করা নিয়ে কোন রকম দুশ্চিন্তা করছেন না। দলীয় ও সাধারণ ভোটাররা ভোট দিলেই বিজয়ী হবেন কামরান। তাই সিলেট সিটি নির্বাচন নিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত রয়েছে আওয়ামী লীগ।

সূত্র বলছে, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতারা মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও তারা কামরানের বিজয় নিশ্চিতে মাঠে নেমেছেন ঐক্যবদ্ধভাবে। এ কারণেই অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। অন্য দিকে বিএনপির স্থানীয় নেতা বদরুজ্জামান সেলিম বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। কিন্তু এতে ভোটারদের মনে তেমন প্রভাব পড়েনি। বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ চাচ্ছে সিলেটে দলীয় মেয়র প্রার্থীকে জয়ী করে বিগত সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের শোধ নিতে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। খুলনা এবং ২৫ জুন গাজীপুরে প্রথম ধাপের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। সেই ধারাবাহিকতা সিলেটেও ধরে রাখতে মরিয়া দলটি। টানা দুবারের নির্বাচিত সিটি মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানেই আস্থা রেখেছে আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে, ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামী এবার জমিয়ে তুলেছে সিলেট সিটির নির্বাচন। সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সিলেট সিটি নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করে মাঠে নামেন। অ্যাডভোকেট জুবায়ের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বিপাকে রয়েছেন আরিফুল হক।

সিলেটে জামায়াতই নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান গড়ে দেবে। আরিফুল হক চৌধুরী ও বিএনপি জোর চেষ্টা চালিয়েছে জামায়াতের সমর্থন আদায়ের। কিন্তু এখানে বিএনপি জামায়াতের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে। পাঁচ সিটি নির্বাচনের মধ্যে শরিক দল হিসেবে জামায়াত শুধুমাত্র সিলেটে বিএনপির সমর্থন চেয়েছিল। বিএনপি এই সুযোগ দেয়নি। তবে নগরবাসীর সমর্থন আর আগ্রহের কারণেই ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন জামায়াত নেতা। আর এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য বেগম জিয়ার প্রতীক ধানের শীষের পরাজয় নিশ্চিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: