শিরোনাম
নাগরপুরে নানা আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস পালিত Headline Bullet       মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
মহান স্বাধীনতাদিবস পালিত
Headline Bullet       মাভাবিপ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন Headline Bullet       কালিহাতীতে কাফনে মোড়ানো নবজাতকের লাশ উদ্ধার Headline Bullet       খোলা স্টেশনে ঢুকে ১০২০ টাকা জরিমানা গুণলেন পলিটেকনিকের ছাত্র-ছাত্রী Headline Bullet       মির্জাপুরের সম্মুখ যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন Headline Bullet       টাঙ্গাইলে দুটি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ,চালকসহ আহত ৬ Headline Bullet       মধুপুর প্রেসক্লাব পাঠাগারকে সমৃদ্ধ করতে মধুপুরবাসী’ গ্রুপের ৫ শতাধিক বই হস্তান্তর  Headline Bullet       টাঙ্গাইলে নিখোঁজের ৪ দিন পর পুকুর থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার Headline Bullet       টাঙ্গাইলে স্পিরিট পানে পর পর পাঁচ জনের মৃত্যু Headline Bullet      

আফগান স্পিনের কাছে বাংলাদেশের পরাজয়

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ০৪ জুন ২০১৮ - ০২:২৫:২৫ পিএম

আফগান ইনিংসের শেষ ৪ ওভারই গড়ে দিয়েছে পার্থক্যকিন্তু এই শেষ ওভারে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কেন দলের স্পিনারদের ওপর আস্থা রাখলেন না, এই প্রশ্ন উঠছেযেখানে ১০ ওভারে স্পিনাররা দিয়েছিল মাত্র ৫৫ রান!

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের সঙ্গে র‍্যাঙ্কিংয়ের ব্যবধানটা যে হিসেবের গোলমেলের কারণে নয় সেটি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে রশিদ খানরা। বাংলাদেশ ইনিংসের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন আফগান স্পিনাররা। শেষ দিকে পেসাররা শুধু স্পিনারদের দেওয়া উপহারগুলো বুঝে নিয়েছেন। ম্যাচ শেষে প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশ কী তাদের স্পিনারদের ঠিকমতো কাজে লাগিয়েছে?

মুজিব-উর-রহমান, রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী মিলে ১১ ওভার করেছেন কাল। আরেকটি ওভার করার সুযোগ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাই দেননি। তো এই ১১ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে বাংলাদেশের ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন এ তিন স্পিনার। সাকিব আল হাসানও ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘ওদের কৃতিত্ব দিতে হচ্ছে। ওদের মানসম্পন্ন স্পিনার আছে এবং ওরা ভালো করেছে।’ এর উল্টো দিকেই বাংলাদেশের দীর্ঘশ্বাস। না, বাংলাদেশের স্পিনাররা মোটেও খারাপ করেননি। ১০ ওভার বল করে ৫৫ রান দিয়ে তাদের অর্জন দুই উইকেট। আর তিন পেসার মিলে ১০ ওভারেই দিয়েছেন ১০৬ রান, উইকেট ৪টি। এর মধ্যে রুবেল হোসেনের উইকেটটিই ম্যাচে যা একটু প্রভাব রেখেছিল।

ম্যাচের মোড় ঘুরে গেছে শেষ চার ওভারে। তিন পেসারের ৪ ওভারে ৬২ রান তুলেছে আফগানিস্তান। রুবেলের দুই ওভারে এসেছে ২৩ রান। বাকি দুই পেসার আবু জায়েদ ও আবুল হাসান এক ওভারেই দিয়েছেন ২০ ও ১৯ রান। অথচ ম্যাচটা বাংলাদেশের দিকে হেলে দিয়েছিলেন স্পিনাররা। ১২ থেকে ১৫—এ চার ওভারে আফগানিস্তান দল মাত্র ১৪ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছিল ৩ উইকেট। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক ও নাজমুল—সবাই দারুণ বল করেছেন। আগের তিন ওভারে ২৭ রান দেওয়া নাজমুলও ওই সময়ে দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। অনিয়মিত মোসাদ্দেকও এক ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৩ রান। আর মাহমুদউল্লাহ তো ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। ১ ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ২ উইকেট!

১৪তম ওভারে এমন বোলিং করার পরও শেষদিকের পাঁচ ওভারে একবার বল হাতে তুলে দেওয়া হয়নি মাহমুদউল্লাহর কাছে। এ ব্যাপারে সাকিবের উত্তর, ‘এটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। আমি যদি তাকে বল দিতাম আর ছক্কা খেয়ে যেত তখন আপনারা জিজ্ঞেস করতেন কেন তাকে বল দিলাম। নিয়মিত বোলারদের দিলাম না।’ এ ব্যাপারে অধিনায়ককে সমর্থন দিচ্ছেন সংবাদ সম্মেলনে আসা লিটন দাসও, ‘অন্যরা (পেসাররা) উইকেট পেয়ে গেলে এই সমালোচনা করা যেত না।’

সব আলোচনা, সমালোচনাই ঘটে যাওয়া ফলের ওপর হয়। অধিনায়ককে ম্যাচের মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু এ ম্যাচের অনেক আগ থেকেই উইকেটকে স্পিনবান্ধব, বিভ্রান্তিকর দুই ধরনের গতির উইকেট বলে দাবি করা হচ্ছিল। ম্যাচেও স্পিনাররাই ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন। দু পেসার জায়েদ ও আবুলও আগের স্পেলে এমন কিছু করে দেখাননি। তাঁদের বোলিংয়ে না ডেকে অনিয়মিত মোসাদ্দেককে না ডাকায় কেউ প্রশ্ন তুলছে না। তবে স্পিনবান্ধব উইকেটে ১ রানে ২ উইকেট পাওয়া স্পিনারকে আরেকটি ওভার দিলে সমালোচনা হয়তো খুব বেশি হতো না!

 

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: