শিরোনাম
বিদ্যুতখাতে অনিয়ম ও দূর্নীতিসহ অসহনীয় লোডশেডিং এর প্রতিবাদে বিএনপির ধর্মঘট Headline Bullet       টাঙ্গাইলের নারী উদ্যোক্তাকে মারধর, দোকান ও বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগ Headline Bullet       নাগরপুরে জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা Headline Bullet       রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের নিয়ে মৌসুমী ফলের উৎসব Headline Bullet       বাসাইল পৌরসভা নির্বাচন: প্রশাসনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা Headline Bullet       হত্যার ভয় দেখিয়ে শিশু বলাৎকার, সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার গ্রেফতার Headline Bullet       যায়যায়দিন সমাজের প্রকৃত চিত্রের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে Headline Bullet       ভূঞাপুরে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিলো দুইজনের প্রাণ Headline Bullet       নাগরপুরে পথসভায় উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম Headline Bullet       মির্জাপুরে দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ প্রদান Headline Bullet      

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভিক্ষুকের টাকা ছিনতাই করল মাদক সেবী

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ২৯ মে ২০১৮ - ১১:০৬:৩৮ এএম

আহারে একটা কাপড় কিনার জন্য আমাকে ৩শ টেকা দিলো আর সেই টেকা থাপা মেরে নিয়ে গেল এক খারাপ পোলাই। রোজা রমযানের দিন মেইনসে দিবো কি আরও গরীবের টাকা ছিরিয়ে নেয়। ঘুরে ঘুরে যাও পয়সা তুলতাম ভয়ে তাও পারছি না। বাবা ওরা আমাকে আবার মারবে না তো। সুন্দুরি বেগম (৭৫) নামে এক ভিক্ষুক সোমবার বেলা সাড়ে বারটার দিকে মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসে কান্নাজড়িত কন্ঠে আক্ষেপ করে এসব কথা বলেন। ভিক্ষুকের টাকা এভাবে ছিনতাইয়ের এ ঘটনাটি ঘটে সোমবার বেলা বারটার দিকে মির্জাপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে আশকবর ভবনের পশ্চিম পার্শ্বে সওদাগড় পাড়ার সামনে।

এদিকে সারা দেশের মতো মির্জাপুরেও মাদক বিক্রেতা ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হলেও মির্জাপুরে এখনও প্রকাশ্যে ঘুরাঘুরি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, সুন্দুরি বেগম বেলা বারটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আশকবর ভবনের পশ্চিম পাশ্বে ভিক্ষা করছিলেন। এ সময় এক ব্যাক্তি তাকে কাপড় কেনার জন্য ৩শ টাকা সাহায্য দেন। সুন্দুরি বেগম ওই টাকা হাতে নিয়ে মোনাজাত শেষে তার ব্যাগে রাখছিলেন। এ সময় সওদাগর পাড়ার বাসিন্দা মাদক সেবী আল আমিন থাবা মেরে ওই বৃদ্ধার টাকা নিয়ে রিক্সাযোগে চম্পট দেয়। এ ঘটনার পর ভিক্ষুক সুন্দুরি কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজন তাকে সান্তনা দেন।

সুন্দুরি বেগমের বাবার বাড়ি মহেড়া ইউনিয়নের মহেড়া গ্রামে। একইউ ইউনিয়নের ঘোনা পাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। পরে স্বামী মারা যাওয়ার পর পাশ্ববর্তী দেলদুয়ার উপজেলার দশীরা গ্রামের রজব আলীর সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। দ্বিতীয় স্বামীও মারা যায়। পরে মহেড়া গ্রামে ভাই আশোক আলীর পরিবারে থেকে ভিক্ষা করে দিনাতিপাত করছেন।

সুন্দরি বেগমের বয়স ৭৫ বছর হলেও তার ভাগ্যে জুটেনি বিধবা কিংবা বয়স্ক ভাতার কোন কার্ড।

মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সুন্দুরি বেগম নামে কেউ তার কাছে আসেনি। আসলে তার নামে একটি কার্ড করে দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: