শিরোনাম
মধুপুরে মা,ছেলে, ছেলের বউসহ ৪জনকে গাছে বেঁধে নির্যাতন Headline Bullet       টাঙ্গাইলে লৌহজং নদী দখল ও দূষণ রোধে করণীয় মতবিনিময় সভা Headline Bullet       এমপি প্রার্থী সিদ্দিকী পরিবারের তিন ভাই Headline Bullet       টাঙ্গাইলের ৪টি আসনে তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল Headline Bullet       টাঙ্গাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঠান্ডুর মনোনয়ন পত্র বাতিল Headline Bullet       টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে আ.লীগের প্রার্থী ডা. কামরুলের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় Headline Bullet       টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে আ.লীগের মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন-এডভোকেট মামুন Headline Bullet       টাঙ্গাইলের হাতুড়ী ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা Headline Bullet       টাঙ্গাইলে লৌহজং নদী দখলমুক্ত দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপন Headline Bullet       মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েও হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন ছানোয়ার এমপি Headline Bullet      

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভিক্ষুকের টাকা ছিনতাই করল মাদক সেবী

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ২৯ মে ২০১৮ - ১১:০৬:৩৮ এএম

আহারে একটা কাপড় কিনার জন্য আমাকে ৩শ টেকা দিলো আর সেই টেকা থাপা মেরে নিয়ে গেল এক খারাপ পোলাই। রোজা রমযানের দিন মেইনসে দিবো কি আরও গরীবের টাকা ছিরিয়ে নেয়। ঘুরে ঘুরে যাও পয়সা তুলতাম ভয়ে তাও পারছি না। বাবা ওরা আমাকে আবার মারবে না তো। সুন্দুরি বেগম (৭৫) নামে এক ভিক্ষুক সোমবার বেলা সাড়ে বারটার দিকে মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসে কান্নাজড়িত কন্ঠে আক্ষেপ করে এসব কথা বলেন। ভিক্ষুকের টাকা এভাবে ছিনতাইয়ের এ ঘটনাটি ঘটে সোমবার বেলা বারটার দিকে মির্জাপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে আশকবর ভবনের পশ্চিম পার্শ্বে সওদাগড় পাড়ার সামনে।

এদিকে সারা দেশের মতো মির্জাপুরেও মাদক বিক্রেতা ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হলেও মির্জাপুরে এখনও প্রকাশ্যে ঘুরাঘুরি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, সুন্দুরি বেগম বেলা বারটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আশকবর ভবনের পশ্চিম পাশ্বে ভিক্ষা করছিলেন। এ সময় এক ব্যাক্তি তাকে কাপড় কেনার জন্য ৩শ টাকা সাহায্য দেন। সুন্দুরি বেগম ওই টাকা হাতে নিয়ে মোনাজাত শেষে তার ব্যাগে রাখছিলেন। এ সময় সওদাগর পাড়ার বাসিন্দা মাদক সেবী আল আমিন থাবা মেরে ওই বৃদ্ধার টাকা নিয়ে রিক্সাযোগে চম্পট দেয়। এ ঘটনার পর ভিক্ষুক সুন্দুরি কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজন তাকে সান্তনা দেন।

সুন্দুরি বেগমের বাবার বাড়ি মহেড়া ইউনিয়নের মহেড়া গ্রামে। একইউ ইউনিয়নের ঘোনা পাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। পরে স্বামী মারা যাওয়ার পর পাশ্ববর্তী দেলদুয়ার উপজেলার দশীরা গ্রামের রজব আলীর সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। দ্বিতীয় স্বামীও মারা যায়। পরে মহেড়া গ্রামে ভাই আশোক আলীর পরিবারে থেকে ভিক্ষা করে দিনাতিপাত করছেন।

সুন্দরি বেগমের বয়স ৭৫ বছর হলেও তার ভাগ্যে জুটেনি বিধবা কিংবা বয়স্ক ভাতার কোন কার্ড।

মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সুন্দুরি বেগম নামে কেউ তার কাছে আসেনি। আসলে তার নামে একটি কার্ড করে দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর