শিরোনাম
নিম্ন মানের খোয়ায় হচ্ছে ৬৪ লাখ টাকার সড়ক নির্মাণ, নীরব কর্তৃপক্ষ Headline Bullet       রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে বাসাইল  প্রশাসনের লিফলেট বিতরণ Headline Bullet       দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মির্জাপুরে প্রশাসনের বাজার মনিটরিং Headline Bullet       মির্জাপুর মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্যাব বিতরণ Headline Bullet       বাসাইলে চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে পাটের বীজ বিতরণ Headline Bullet       রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে জেলা প্রশাসনের লিফলেট বিতরন Headline Bullet       নাগরপুরে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ভূমিসহ গৃহ হস্তান্তর Headline Bullet       সন্তোষ জাহ্নবী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও মিলাদ মাহফিল Headline Bullet       টাঙ্গাইলে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে Headline Bullet       টাঙ্গাইলে এসপি’র কাছে থেকে বিনামূল্যে স্কুল ড্রেস ও চকলেট পেলো সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা Headline Bullet      

ভারতের চা বিক্রেতা এখন ৩৩৯ কোটি রুপির মালিক, ইচ্ছা এমএলএ হওয়ার

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ২৩ এপ্রিল ২০১৮ - ০৩:২৬:৫৬ পিএম

মাত্র ১১ বছর বয়সে বেঙ্গালুরু শহরে ঢোকেন অনিল। দিনে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরির পর রাতে দোকানপাট বন্ধ হলে তার সামনে খোলা আকাশের নিচে ঘুমাতেন। একপর্যায়ে আম বিক্রি করেছেন। পরে চা বিক্রি করতেন। চা বিক্রেতা থেকে তিনি এখন ৩৩৯ কোটি রুপির মালিক। এখন ইচ্ছা এমএলএ হওয়ার। সে ইচ্ছাতেই মনোনয়নপত্রও তুলেছেন তিনি।

তিনি পি অনিল কুমার (৪৩)। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে তাঁর বাড়ি। এখন বড় মাপের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী তিনি।

অনিল কুমার কর্ণাটক বিধানসভায় নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র তুলেছেন বোমমানাহল্লি আসন থেকে। আগামী ১২ মে অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে তিনি ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনী হলফনামায় নিজের সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেছেন ৩৩৯ কোটি রুপি। পাশাপাশি তাঁর গাড়ির সংখ্যা ১৬ বলে উল্লেখ করেন। এর মধ্যে কয়েকটি আছে বিদেশ থেকে আমদানি করা।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, অনিল কুমারের মূল বাড়ি ভারতের কেরালা রাজ্যে। অল্প বয়সে বাবাকে হারিয়ে তিনি চরম দুর্দশায় পড়েন। তিন সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে তাঁর মা গৃহকর্মীর কাজ করেছেন। স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে অনিল কুমার বলেন, ‘আমার মা মানুষের বাড়িতে থালা-বাসন ধুয়েছেন। মেঝে মুছতেন। এর বিনিময়ে তিনি কিছু খাবার পেতেন। কিন্তু তিনি আমাদের না খাইয়ে নিজে খেতেন না।’ এনডিটিভির খবরে বলা হয়—অনিল এ স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।

দারিদ্র্যের কারণে অনিল কুমার তৃতীয় শ্রেণির বেশি পড়তে পারেননি। উপার্জনের উদ্দেশে ১৯৮৫ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে বাড়ি ছাড়েন। অনিল কুমার বলেন, বেঙ্গালুরু ছিল তাঁর কাছে একদম নতুন শহর। সেখানে তিনি রাতে দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সামনের খোলা রাস্তায় ঘুমাতেন। একপর্যায়ে এক ব্যক্তি তাঁকে দোকানে কাজ দেন। তাঁর কাজ ছিল এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কার্টনভর্তি আম পৌঁছে দেওয়া।

অনিল বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি আমের কাজটি ছেড়ে দেন এবং একটি ছোট্ট কোম্পানিতে চা বিক্রি শুরু করলেন। ১৯৯০ সালে তিনি একটি আইটি ফার্মে চা বিক্রি করেন। ওই ফার্মের আওতায় বড় একটি শোরুমও ছিল। অনিল বলেন, সেখানে তিনি প্রচুর চা বিক্রি করতে পারতেন। কারণ সেখানে অনেক লোকের সমাগম হতো। তিনি উপার্জিত অর্থের একটা অংশ সঞ্চয় করতে থাকেন।

অনিল বলেন, ভাগ্যের চাকা চূড়ান্তরূপে ঘুরতে থাকে তাঁর বিয়ের পর। বিয়ের পর এই দম্পতি বাড়ি করার জন্য একখণ্ড জমি কেনেন। কিন্তু জমি কেনার পরপরই কিছু লোক তাঁর জমিটি কেনা দামের দ্বিগুণ দামে কিনতে চায়। তিনি তা-ই করেন। জমিটি তাদের কাছে দ্বিগুণ লাভে বিক্রি করে দেন। অনিল কুমার বলেন, ‘এটিই আমাকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর থেকে (নব্বই দশকের শেষের দিকে) আমি একের পর এক জমি কেনাবেচা করতে লাগলাম। এই রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায়ই আমাকে ছয় বছরের মাথায় কোটিপতি করে।’

অনিল আট বছর আগে বোমমানাহল্লিতে এম জে ইনফ্রাস্ট্রাকচার নামের একটি কোম্পানি খোলেন। অনিল কুমার নিজের উপার্জিত অর্থের একটি অংশ মানবকল্যাণে ব্যয়ের পাশাপাশি গির্জা ও মন্দির স্থাপনার মতো কাজে খরচ করছেন বলে জানান।

অনিল যে আসনটিতে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন, তা ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী জি সতীশ রেড্ডির দখলে। তবে নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আত্মবিশ্বাসী অনিল।

 

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: