শিরোনাম
মির্জাপুরে নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Headline Bullet       টাঙ্গাইল ডিএফএ এর সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান জামিলের স্মরণে শোকসভা  Headline Bullet       দেশে এবার নির্মাণ হবে দৃষ্টিনন্দন ২৬১ গম্বুজ মসজিদ Headline Bullet       মির্জাপুরে ফজলুর রহমান খান ফারুক ফুটবলে কালিয়াকৈর চ্যাম্পিয়ন Headline Bullet       অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত, প্রতিবাদের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন Headline Bullet       নাগরপুরে জনসভাকে ঘিরে প্রকাশ্যে এলো এমপি-উপজেলা আ’লীগের দ্বন্দ্ব Headline Bullet       মির্জাপুরে ডেঙ্গু সচেতনতায় র‌্যালি Headline Bullet       বিয়ের ২ দিন পর পুকুরে গোসল করতে গিয়ে লাশ হলেন যুবক Headline Bullet       নাগরপুরে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Headline Bullet       মির্জাপুরে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ও আইনশৃৃৃঙ্খলা সভা Headline Bullet      

মাদ্রাসায় লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো শিশু জিম আক্তারকে

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ২২ এপ্রিল ২০১৮ - ০২:৫৯:১২ পিএম

বাজারে দোকানের সামনে গিয়ে কাঁদছিল শিশুটি। পায়ে লোহার শিকলের এক প্রান্ত বাধা। আরেক প্রান্ত খোলা। দেখে বোঝাই যাচ্ছিল, সে এমন কোথা থেকে পালিয়ে এসেছে, যেখানে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। শিশুটির সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতাও পায় ওই বাজারের লোকজন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায়। উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম জিম আক্তার (১০)। সে উপজেলার চলনালি গ্রামে স্থানীয় চলনালি মাদ্রাসায় পড়ে। একই উপজেলার কাছিকাটা গ্রামে জিমের বাড়ি। বাবা আইনুল হক বেঁচে নেই।

‘অবাধ্য’ হওয়ার কারণে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো বলে স্বীকার করেছেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়ারুল ইসলাম। পুলিশ পরে ওই শিক্ষককে আটক করে।

উদ্ধার হওয়া শিশুটির বরাতে গুরুদাসপুর থানার পুলিশ জানায়, চলনালি মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়ারুল ইসলাম শিশুশিক্ষার্থী জিমকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতেন। মাদ্রাসার নির্দিষ্ট একটি কক্ষ থেকে বের হতে দিতেন না। দীর্ঘদিন এভাবে থাকার পর গত শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে জিম মাদ্রাসার অন্য শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পালিয়ে এসে চাঁচকৈড় বাজারের একটি দোকানের বারান্দায় এসে আশ্রয় নেয়। স্থানীয় লোকজন সেখানে তাকে কাঁদতে দেখে পরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শিশুটির কাছে সবকিছু শোনার পর ওই রাতেই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।

খবর পেয়ে জিমের মা মিনিয়ারা বেগম থানায় এসে মেয়েকে বাসায় নিয়ে যান। তিনি জানান, মেয়েকে আরবি শেখানোর জন্য মাদ্রাসায় দিয়েছিলেন। সে মাদ্রাসায় থাকতে চাইত না।

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: