শিরোনাম
নাগরপুরে জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা Headline Bullet       রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের নিয়ে মৌসুমী ফলের উৎসব Headline Bullet       বাসাইল পৌরসভা নির্বাচন: প্রশাসনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা Headline Bullet       হত্যার ভয় দেখিয়ে শিশু বলাৎকার, সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার গ্রেফতার Headline Bullet       যায়যায়দিন সমাজের প্রকৃত চিত্রের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে Headline Bullet       ভূঞাপুরে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিলো দুইজনের প্রাণ Headline Bullet       নাগরপুরে পথসভায় উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম Headline Bullet       মির্জাপুরে দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ প্রদান Headline Bullet       আন্তঃজেলা ভলিবল প্রতিযোগিতায় আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন টাঙ্গাইল Headline Bullet       বাজেটে কৃষিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি—- কৃষিমন্ত্রী Headline Bullet      

মাদ্রাসায় লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো শিশু জিম আক্তারকে

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ২২ এপ্রিল ২০১৮ - ০২:৫৯:১২ পিএম

বাজারে দোকানের সামনে গিয়ে কাঁদছিল শিশুটি। পায়ে লোহার শিকলের এক প্রান্ত বাধা। আরেক প্রান্ত খোলা। দেখে বোঝাই যাচ্ছিল, সে এমন কোথা থেকে পালিয়ে এসেছে, যেখানে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। শিশুটির সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতাও পায় ওই বাজারের লোকজন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায়। উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম জিম আক্তার (১০)। সে উপজেলার চলনালি গ্রামে স্থানীয় চলনালি মাদ্রাসায় পড়ে। একই উপজেলার কাছিকাটা গ্রামে জিমের বাড়ি। বাবা আইনুল হক বেঁচে নেই।

‘অবাধ্য’ হওয়ার কারণে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো বলে স্বীকার করেছেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়ারুল ইসলাম। পুলিশ পরে ওই শিক্ষককে আটক করে।

উদ্ধার হওয়া শিশুটির বরাতে গুরুদাসপুর থানার পুলিশ জানায়, চলনালি মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়ারুল ইসলাম শিশুশিক্ষার্থী জিমকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতেন। মাদ্রাসার নির্দিষ্ট একটি কক্ষ থেকে বের হতে দিতেন না। দীর্ঘদিন এভাবে থাকার পর গত শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে জিম মাদ্রাসার অন্য শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পালিয়ে এসে চাঁচকৈড় বাজারের একটি দোকানের বারান্দায় এসে আশ্রয় নেয়। স্থানীয় লোকজন সেখানে তাকে কাঁদতে দেখে পরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শিশুটির কাছে সবকিছু শোনার পর ওই রাতেই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।

খবর পেয়ে জিমের মা মিনিয়ারা বেগম থানায় এসে মেয়েকে বাসায় নিয়ে যান। তিনি জানান, মেয়েকে আরবি শেখানোর জন্য মাদ্রাসায় দিয়েছিলেন। সে মাদ্রাসায় থাকতে চাইত না।

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: