শিরোনাম
ভূঞাপুরে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিলো দুইজনের প্রাণ Headline Bullet       নাগরপুরে পথসভায় উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম Headline Bullet       মির্জাপুরে দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ প্রদান Headline Bullet       আন্তঃজেলা ভলিবল প্রতিযোগিতায় আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন টাঙ্গাইল Headline Bullet       বাজেটে কৃষিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি—- কৃষিমন্ত্রী Headline Bullet       দীর্ঘ ৯ বছর পর জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণায় টাঙ্গাইল বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল  Headline Bullet       বীর নিবাস’ আবাসন কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Headline Bullet       মধুপুরে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ভ্যানে থাকা স্বামী-স্ত্রী-সন্তানসহ ৪ জনের   Headline Bullet       মির্জাপুরে ইউএনওর উদ্যোগে ফলজ বৃক্ষের চারা বিতরণ Headline Bullet       টাঙ্গাইলে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উদযাপন Headline Bullet      

রোহিঙ্গা হত্যার দায়ে মিয়ানমারে ৭ সেনার কারাদণ্ড

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ১২ এপ্রিল ২০১৮ - ০২:৫৪:১৩ পিএম

গত বছর বিচারবহির্ভূতভাবে ১০ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যার দায়ে মিয়ানমারের সাত সেনাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। আজ বুধবার দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হলিং ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান।

গত ২ সেপ্টেম্বর ইনদিন গ্রামে ১০ জন রোহিঙ্গাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ বিচারের মধ্য দিয়ে এটি একমাত্র ঘটনা, যা সেনাবাহিনী স্বীকার করল।

সিনিয়র জেনারেল মিন অং হলিংয়ের পোস্ট থেকে জানা যায়, সেনাবাহিনী থেকে চার কর্মকর্তাকে অপসারণ করে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিন সৈন্যকেও একই ধরনের দণ্ড দিয়ে সাধারণ কয়েদিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় স্বাধীন তদন্ত আহ্বান করেছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গন। কিন্তু তা উপেক্ষা করে রুদ্ধদ্বার বিচার অনুষ্ঠিত হয়।

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগকে ‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’ উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছেন।

গত আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনে নামে সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা নিজ দেশে ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চলাকালে সেখানে রয়টার্সের হয়ে কাজ করছিলেন সাংবাদিক ওয়া লোন (৩১) এবং কিয়াও সো ও (২৭) ওই দুই সাংবাদিক। নির্যাতনের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন করার কারণে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এমন তথ্য এবং নথি সংগ্রহ করেছেন, যা ‘শত্রুদের কাজে লাগতে পারে’। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

তাঁদের আটকের এক মাস পর দেশটির সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে, যা বিরল। সেখানে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যদিও সেনাবাহিনী বরাবরই দাবি করে আসছে, রোহিঙ্গা পুরুষেরা ‘সন্ত্রাসী’। তবে তারা কখনোই তাদের দাবির বিপরীতে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

এই দুই সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দা জানানো হয়। সবাই তাঁদের মুক্তির দাবি জানায়। আজ ওই দুই সাংবাদিকের মুক্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হলে আদালত তা খারিজ করেন।

ওই দুই সাংবাদিক বৌদ্ধ গ্রামবাসী, নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে, বিভিন্ন তথ্য–প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছিলেন। সেখানে ফুটে উঠেছিল গণকবরে ডাম্প করার আগে কীভাবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ গ্রামবাসী ১০ জন পুরুষকে হত্যা করেছিল।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইনদিনের এই হত্যাকাণ্ডকে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ‘হিমশৈলের উপরিভাগ’ বলে মন্তব্য করেছে।

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারের (এমএসএফ) এক হিসাবে বলা হয়, সামরিক নির্যাতনের প্রথম মাসে অন্তত ৬ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: