শিরোনাম
মির্জাপুরে নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Headline Bullet       টাঙ্গাইল ডিএফএ এর সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান জামিলের স্মরণে শোকসভা  Headline Bullet       দেশে এবার নির্মাণ হবে দৃষ্টিনন্দন ২৬১ গম্বুজ মসজিদ Headline Bullet       মির্জাপুরে ফজলুর রহমান খান ফারুক ফুটবলে কালিয়াকৈর চ্যাম্পিয়ন Headline Bullet       অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত, প্রতিবাদের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন Headline Bullet       নাগরপুরে জনসভাকে ঘিরে প্রকাশ্যে এলো এমপি-উপজেলা আ’লীগের দ্বন্দ্ব Headline Bullet       মির্জাপুরে ডেঙ্গু সচেতনতায় র‌্যালি Headline Bullet       বিয়ের ২ দিন পর পুকুরে গোসল করতে গিয়ে লাশ হলেন যুবক Headline Bullet       নাগরপুরে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Headline Bullet       মির্জাপুরে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ও আইনশৃৃৃঙ্খলা সভা Headline Bullet      

টাংগাইলে ব্যাপক হারে পিডিবির বিদ্যুৎ চুরি

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ১০ এপ্রিল ২০১৮ - ০৪:২২:৩৬ পিএম

 

কৃষ্মনগর ভাঙাবাড়ি,আনাহুলা এলাকা যা টাংগাইল জেলা পিডিবি এর আওতাভুক্ত সন্তোষ রিডার এর আওতাধীন।গত বছরের জানুয়ারীতে মেসার্স মুন পাওয়ার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ইলেকট্রিকাল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টাংগাইল জেলা পিডিবি এর কাছ থেকে দরপএ আহবান করে মিটার রিডিং পর্যবেক্ষন এবং তা অনুযায়ী বিল করার দায়িত্ব নেয়।উক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য ৭ জন সুপারভাইজার সহ প্রতি সুপারভাইজারের অধিনে ১০/১২ জন করে মিটার রিডার ম্যান নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

গত ০৯/০৪/২০১৮ ইং ঐ এলাকায নিযুক্ত সুপারভাইজার নুরুজ্জামান(গ্রাম:পিরোজপুর; ডাকঘর:কাকরাইদ;থানা:মধুপুর জেলা;টাংগাইল)এর অধীনে থাকা রিডারম্যান তরিকুল ও তার ভাড়াটে লোক বারেক মিলে কৃষ্মনগর ভাঙাবাড়ি গ্রামের আসমানীর বাড়িতে নির্দিষ্ট পরিমাণে থাকা মিটার রিডিং যার আনুমানিক মূল্য ৮০০০ টাকা।উক্ত রিডিং শুন্য করে দেবার চুক্তিতে শুন্য রিডিংযুক্ত নতুন এক মিটার বসিয়ে দেয়।এসময় লোক মারফত খবর পেয়ে জেলা পিডিবির নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো: আনোয়ারুল ইসলাম তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলেন।৪০০০ টাকার বিনিময়ে তারা এ কাজটি করে বলে জানায়।এসময় তাদের কাছ থেকে জানা যায় এ অবৈধ কাজে সুপারভাইজার নুরুজ্জামান জড়িত।কিন্তু এ নিয়ে নুরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।পরে এ নিয়ে কথা বলতে মেসার্স মুন পাওয়ার এন্টারপ্রাইজের অফিসে গেলে অফিসে তালা ঝুলতে দেখা যায়।ধৃত তরিকুল ও বারেক জানায় মুন পাওয়ার এন্টারপ্রাইজের প্রতিটি সুপারভাইজারই এমন অবৈধ কাজ বহুদিন ধরে করে আসছেন।শুধু মিটার রিডিং কমানো নয় কখনো কখনো মিটার রিডিং নিজেদের ইচ্ছে মত বাড়িয়ে বসিয়ে অনেক গ্রাহককে হয়রানি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা ।এসময তরিকুল জানায় পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারনে সে এই অপরাধের পথে পা দিয়েছেন।

তবে এ কাজে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারন গ্রাহকরা।এ ব্যাপারে জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো: আনোয়ারুল ইসলাম জানান যে,জেলার ৩৮,০০০ গ্রাহকের সেবায় নিয়োজিত টাংগাইল জেলা পিডিবি এর কোন কর্মকর্তা এর সাথে জড়িত কিনা তা তিনি খতিয়ে দেখবেন এবং থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয ব্যবস্থা নিবেন।এছাড়া তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার কথা জানিযেছেন।আর এ ধরনের অপরাধ ও প্রতারণা থেকে সকল গ্রাহককে সচেতন ও বিরত থাকার আনুরোধ করেছেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: