শিরোনাম
মির্জাপুরে নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Headline Bullet       টাঙ্গাইল ডিএফএ এর সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান জামিলের স্মরণে শোকসভা  Headline Bullet       দেশে এবার নির্মাণ হবে দৃষ্টিনন্দন ২৬১ গম্বুজ মসজিদ Headline Bullet       মির্জাপুরে ফজলুর রহমান খান ফারুক ফুটবলে কালিয়াকৈর চ্যাম্পিয়ন Headline Bullet       অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত, প্রতিবাদের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন Headline Bullet       নাগরপুরে জনসভাকে ঘিরে প্রকাশ্যে এলো এমপি-উপজেলা আ’লীগের দ্বন্দ্ব Headline Bullet       মির্জাপুরে ডেঙ্গু সচেতনতায় র‌্যালি Headline Bullet       বিয়ের ২ দিন পর পুকুরে গোসল করতে গিয়ে লাশ হলেন যুবক Headline Bullet       নাগরপুরে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Headline Bullet       মির্জাপুরে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ও আইনশৃৃৃঙ্খলা সভা Headline Bullet      

টাংগাইলের দেলদুয়ারে পাপিয়া হত্যা মামলায় তিন মাসেও গ্রেফতার হয়নি কেউ

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ১০ এপ্রিল ২০১৮ - ০৩:৫২:২৫ পিএম

দেলদুয়ার প্রতিনিধি:মারিয়া আক্তার পাপিয়া (২৯) নামের গৃহবধূর হত্যা মামলার আসামীরা গ্রেফতার হয়নি তিন মাসেও।বিচার পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন পাপিয়ার বাবা।গত ২৭ শে নভেম্বর ২০১৭ তারিখে বিষপানে পাপিয়ার মৃত্যু হয়।তবে পাপিয়ার মা বাবার অভিযোগ শারিরিকভাবে নির্যাতন করে পরিকল্পিত ভাবে জোর পূর্বক বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে তাদের মেয়েকে।পাপিয়ার মা মোছা:পারভিন বেগম বাদি হয়ে চলতি বছরে ১লা জানুয়ারি টাংগাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পাপিয়ার স্বামী মনির হোসেন(৩০),শ্বাশুড়ী মমতাজ বেগম(৫০),শ্বশুর মীর সমেজ(৫০),সুমা আক্তার(১৯),সুমি আক্তার(২২) কে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনার ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার এজহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায় গত ২১-১০-২০১১ সালে দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল উত্তর পাড়া গ্রামের মীর সমেজের ছেলে মীর মনিরের সাথে মির্জাপুর উপজেলার স্বল্প মহেড়া গ্রামের মো:আলী আজমের কন্যার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।বিয়ের পর যৌতুক হিসেবে টাকা দাবি করে মনির।টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয় পাপিয়াকে।পরে বাধ্য হয়ে ৩১-৭-২০১৪ তারিখে পাপিয়ার আলাদতে হাজির হয়ে সি.আর.মা: নং- ২৯৯/১৪ যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।পূর্বের জমানো আক্রোশে পাপিয়াকে আত্মহত্যা ও বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাবার জন্য চাপ দিতে থাকে মনিরের পরিবারের লোকজন।ঘটনার দিন মনির সহ আসামীররা পাপিয়াকে কিল ঘূষি ও তলপেটে লাথি মেরে অজ্ঞান করে ফেলে এবং বিষাক্ত জাতীয় তরল পাপিয়ার মুখে জোর পূর্বক ঢেলে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় বলেও পাপিয়ার পরিবারের দাবি।
পাপিয়ার বাবা সমেজ মিয়া ও মামলার বাদী মা পারভিন বেগম জানান,আমাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে আমরা বিশ্বাস করি না
এছাড়া পাপিয়ার শরীরে আঘাতের চিহ্ন তাই প্রমান করে যে পাপিয়া আত্মহত্যা করেনি।মূলত তাকে নির্যাতন করে মেরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা করে যাচ্ছে আসামীরা।
তারা থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে ঘটনাকে তাদের পক্ষে নেবার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।শুধু তাই নয় আমাদের হুমকি দিয়ে ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য নানা ভাবে চাপ দিচ্ছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেফতার করেনি।আমরা আমাদের মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
পাপিয়ার মৃত্যুতে পাপিয়ার পাপ কতটুকু ছিল তা না জানা গেলেও টাকার লোভে মনিরের মনুষত্ব যে বিলীন হয়েছিল তা যৌতুক মামলাটিই প্রমাণ করে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই আশরাফুজ্জামান বলেন,জানুয়ারি মাসে মামালার রজু হয়েছে,এর পর থেকেই মামলাটির তদন্ত চলছে।তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।কোন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়নি।ইচ্ছে করেই কোন আসামি ধরা হচ্ছে না বাদি পক্ষের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত এ কর্মকর্তা জানান, যে কেউ এমন বক্তব্য দিতে পারে তবে তা সঠিক নয়

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: