শিরোনাম
নিম্ন মানের খোয়ায় হচ্ছে ৬৪ লাখ টাকার সড়ক নির্মাণ, নীরব কর্তৃপক্ষ Headline Bullet       রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে বাসাইল  প্রশাসনের লিফলেট বিতরণ Headline Bullet       দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মির্জাপুরে প্রশাসনের বাজার মনিটরিং Headline Bullet       মির্জাপুর মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্যাব বিতরণ Headline Bullet       বাসাইলে চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে পাটের বীজ বিতরণ Headline Bullet       রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে জেলা প্রশাসনের লিফলেট বিতরন Headline Bullet       নাগরপুরে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ভূমিসহ গৃহ হস্তান্তর Headline Bullet       সন্তোষ জাহ্নবী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও মিলাদ মাহফিল Headline Bullet       টাঙ্গাইলে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে Headline Bullet       টাঙ্গাইলে এসপি’র কাছে থেকে বিনামূল্যে স্কুল ড্রেস ও চকলেট পেলো সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা Headline Bullet      

আসছে বৈশাখ, ব্যস্ত সময় পার করছে বাসাইলের মৃৎশিল্পীরা

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ১০ এপ্রিল ২০১৮ - ০৮:০৯:০৭ পিএম

মিলন ইসলাম বাসাইল প্রতিনিধিঃ আসছে বৈশাখ, ব্যস্ত সময় পার করছে বাসাইলের মৃৎশিল্পীরা । বৈশাখ এলেই কুমারদের কর্মব্যস্ততা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বৈশাখকে কেন্দ্র করে বাসাইলের কুমাররা মৃৎশিল্প তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। ভোর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মব্যস্ততা। সারা বছর তেমন আয় না হলেও বৈশাখ মাসে তাদের আয় বাড়ে। তাই নারী-পুরুষ সকলে মিলে তৈরি করছেন নানা রকমের জিনিসপত্র। হাড়ি-পাতিল, সানকি, কলসি, ফুলের টপ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং পুতুল, হাতি, ঘোড়া, পাখি, আম, জাম, কাঁঠাল, মাছসহ বিভিন্ন খেলনা তৈরি হচ্ছে বাসাইলের পাল পাড়া, রাশড়া, কাশিলের মৃৎশিল্প কারখানায়। অনেকে এসব জিনিস তৈরি শেষে আগুনে পুড়ানোর কাজও শেষ করেছে। কেউ কেউ প্রয়োজন অনুযায়ী রঙ কওে তাদেও শিল্পদ্রব্য আকর্ষনীয় কওে তোলার কাজ সেওে নিচ্ছে ।বাসাইলের পালপাড়ায় ঘুরে দেখা যায়, বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে কুমাররা নানা ধরনের মাটির জিনিস করছে। সাংসারিক জিনিসপত্রের পাশাপাশি তারা শিশুদের উপযোগী খেলনা হাতি, ঘোড়া, পুতুল, ব্যাংক, হাঁস, বাঘ, হরিণ, কুমির, আম, লিচু তৈরি করছেন। জানা যায়, উপজেলায় বর্তমানে আড়াই শতাধিক পাল পরিবার রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ পেশায় মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে। তবে সারা বছর মাটির জিনিসের তেমন চাহিদা থাকে না থাকলেও বৈশাখে বিভিন্ন মেলায় এর চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। সে চাহিদা মেটাতে তারা এক থেকে দেড় মাস আগেই প্রস্তুতি নিতে থাকে। বাড়ির গৃহবধূ, বৃদ্ধ, পুরুষ এমনকি শিশুরাও এ সময় ব্যস্ত হয়ে উঠে মাটির জিনিস তৈরিতে। বাসাইলের বাবু পাল বলেন, বৈশাখী উপলক্ষে আমরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছি। আগের তুলনায় আমাদের এখন ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। দিনরাত সমান তালে কাজ করছি। সারাবছর আমাদের তেমন বিক্রি না হলেও বৈশাখ মাসে মাটির তৈরি জিনিস প্রচুর বিক্রি হয়। এতে আমরা লাভবান হই। আশা করছি এবারো বৈশাখে মাটির তৈরি জিনিস বিক্রি করে বেশ লাভবান হবো। সংসারের যাবতীয় খরচ এর উপর নিভর করে। অতীতে এ এলাকায় আরো অনেক পরিবার ছিল যারা এ শিল্পের মাধ্যমে জীর্বিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু এলুমিনিয়াম, প্লাস্টিক, সীসা-স্টিল হাড়ি-পাতিলের দাপটে উপজেলার ঐতিহ্যবাহি এ শিল্পের কদও কমলেও পালপাড়া, রাশড়া, কাশিলের কিছু পরিবার এটিকে গর্বের আঁকড়ে ধওে আছে।এতে কষ্ট বেশি লাভ কম। মৃৎশিল্পী দিপালী সুমী পাল বলেন, বাবার বাড়িতে মাটি দিয়ে খেলনা বানিয়েছি। স্বামীর বাড়িতেও খেলনা তৈরির কাজ করছি। এ কাজ করতে আমার ভালোই লাগে। তবে বৈশাখ শেষ হলে আমাদের ব্যস্ততাও শেষ হয়ে যায় । বৈশাখ শেষ হলে বিভিন্ন হাটে-বাজারে মাটির জিনিস বিক্রি করে থাকি। আগে আমাদের এটেঁল মাটি আনতে কিন্তে টাকা লাগতো না। কিন্তু এখন এটেঁল মাটি কিন্তে আনতে টাকা লাগে।তবুও আবহমান বাংলার এ ঐতিহ্য আমরা হারাতে চাই না

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: