শিরোনাম
নিম্ন মানের খোয়ায় হচ্ছে ৬৪ লাখ টাকার সড়ক নির্মাণ, নীরব কর্তৃপক্ষ Headline Bullet       রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে বাসাইল  প্রশাসনের লিফলেট বিতরণ Headline Bullet       দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মির্জাপুরে প্রশাসনের বাজার মনিটরিং Headline Bullet       মির্জাপুর মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্যাব বিতরণ Headline Bullet       বাসাইলে চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে পাটের বীজ বিতরণ Headline Bullet       রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে জেলা প্রশাসনের লিফলেট বিতরন Headline Bullet       নাগরপুরে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ভূমিসহ গৃহ হস্তান্তর Headline Bullet       সন্তোষ জাহ্নবী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও মিলাদ মাহফিল Headline Bullet       টাঙ্গাইলে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে Headline Bullet       টাঙ্গাইলে এসপি’র কাছে থেকে বিনামূল্যে স্কুল ড্রেস ও চকলেট পেলো সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা Headline Bullet      

অবশেষে না ফেরার দেশে টাংগাইলের বীর প্রতীক হামিদুল হক

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ০৫ এপ্রিল ২০১৮ - ০৩:৩৮:৫৮ পিএম

বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৪টায় রাজধানীর মালিবাগে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবাইকে কাঁদিয়ে টাঙ্গাইল সখীপুরের তথা দেশের কৃতিসন্তান বীরপ্রতীক হামিদুল হক চলে গেলেন না ফেরার দেশে।(ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন) বীরপ্রতীক হামিদুল হকের ছেলে ওবাইদুল ইসলাম বলেন, ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবার মৃত্যু হয়। সকালে মরদেহ নিয়ে বাড়ির (সখীপুর) পথে রওনা হয়েছি। সেখানে জানাজা শেষে দাফন হবে।

বাংলার সূর্য সন্তান, টাঙ্গাইল সখীপুরের একমাত্র বীরপ্রতীক, শিক্ষক, জাতির অহংকার হামিদুল হক স্যারের প্রথম নামাজে জানাজা সখীপুর পাইলট স্কুল মাঠে-বাদ যোহর, কচুয়া হাইস্কুল মাঠে- বেলা ৩টায় ও সখীপুর কেজি স্কুল মাঠে- বেলা ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে।

সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের প্রধান নির্বাহী (সিইও) প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ বলেন, বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ফুসফুসে সমস্যা থাকায় অক্সিজেনও নিতে পারছিলেন না। আজ ভোরে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও ফুসফুসের বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। গত ২৭ মার্চ ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয় হামিদুল হককে। ভর্তির পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে গত ১ এপ্রিল আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

গত ২৭ মার্চ ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। গত ২৮ মার্চ হামিদুল হকের শারীরিক পরীক্ষা করা হলে ধরা পড়ে নানা ধরণের রোগ। তার শরীরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিতে সমস্যা, প্রটেস্ট বড় হওয়া, পটাসিয়ামের পরিমান কম থাকা, লাঞ্চে পানি জমে ঠান্ডা লাগা, শ্বাস কষ্টজনিত রোগ ও ফুসফুসে ইনফেকশনের সমস্যা ছিল।

১৯৭১ সালে স্থানীয় কচুয়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন হামিদুল হক। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনতে ৫ মার্চ ভোরে ঢাকার পথে রওনা দেন তিনি। বাল্যবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুস সামাদের হলে গিয়ে উঠেন তিনি। ৭ মার্চ ভোরে চলে যান রেসকোর্স ময়দানে (এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)। ঐতিহাসিক সেই ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। যোগ দেন টাঙ্গাইলের কাদেরিয়া বাহিনীতে। কালিহাতীসহ বেশকিছু স্থানে যুদ্ধ করেন।

মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্বের জন্য হামিদুল হককে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী তার বীরত্বভূষণ নম্বর ৪২২। তিনি ১৯৭২ ও ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার দেখাও করেছেন।

১৯৯০ সালে সখীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। তার বাবার নাম হাবিল উদ্দিন, মা কছিরন নেসা, স্ত্রী রোমেচা বেগম। তাদের চার মেয়ে, এক ছেলে।

দীর্ঘ কর্মময় জীবনে মানুষটি শিক্ষকতা করেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন। অর্থ-সম্পদের পেছনে ছোটেননি কখনো। চাননি তেমন কিছুই। সবার কাছ থেকে পেয়েছেন সম্মান-শ্রদ্ধা। তাতেই তুষ্ট ছিলেন।

 

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: