শিরোনাম
মির্জাপুরে নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Headline Bullet       টাঙ্গাইল ডিএফএ এর সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান জামিলের স্মরণে শোকসভা  Headline Bullet       দেশে এবার নির্মাণ হবে দৃষ্টিনন্দন ২৬১ গম্বুজ মসজিদ Headline Bullet       মির্জাপুরে ফজলুর রহমান খান ফারুক ফুটবলে কালিয়াকৈর চ্যাম্পিয়ন Headline Bullet       অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত, প্রতিবাদের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন Headline Bullet       নাগরপুরে জনসভাকে ঘিরে প্রকাশ্যে এলো এমপি-উপজেলা আ’লীগের দ্বন্দ্ব Headline Bullet       মির্জাপুরে ডেঙ্গু সচেতনতায় র‌্যালি Headline Bullet       বিয়ের ২ দিন পর পুকুরে গোসল করতে গিয়ে লাশ হলেন যুবক Headline Bullet       নাগরপুরে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Headline Bullet       মির্জাপুরে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ও আইনশৃৃৃঙ্খলা সভা Headline Bullet      

টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ২০ মার্চ ২০১৮ - ০৪:১১:২০ পিএম

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ চারবার পেছানোর পর মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে সোমবার বিকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে কারা এ্যাম্বুলেন্সে করে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রধান আসামী টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে টাঙ্গাইল কারাগারে আনা হয়। এরপর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এমপি রানাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। পরে স্বাক্ষগ্রহণ ও বাদির জেরা শুরু হয়।

টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মামলার প্রধান আসামী এমপি আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালেরত বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এজলাসে উঠেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও বাদির জেরা শুরু হয়। আদালতে মামলার বাদি ও নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদের জেরা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বাকি আরও দুই স্বাক্ষী নিহতের ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুনের হাজিরা আদালতে দাখিল করা হয়। পরে আদালত বাদির আংশিক জেরা গ্রহণের পর আগামীকাল ২১ মার্চ এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
কারাগার থেকে এ মামলার প্রধান আসামী এমপি রানাসহ টাঙ্গাইল কারাগারে থাকা আরো তিন আসামি মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান রাজা ও সমিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা আসামি নাসির উদ্দিন নুরু, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ফরিদ আহম্মেদ আদালতে হাজিরা দেন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে চাঞ্চল্যকর এ মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এদিকে এ মামলার আসামী এমপি রানাসহ অন্যান্য আসামীদের শাস্তির দাবিতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
জানা যায়, দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতেই আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১ আছেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিন্ম আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে এবং গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারি এমপি রানা ও তার তিনভাইসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

 

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: